বিষমুক্ত রান্নাঘর অভিজ্ঞান
২০১৭ সালে আমার সাক্ষাৎকার নিয়ে ধ্রুবদা তাঁর ভাবনা প্রকাশ করেছিলেন। আমাদের কাজের ধারাবাহিক ক্রোনোলজি তুলে ধরা গেলে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হবে। আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী — সেই বিশ্বাসে কোনও লঘুতা নেই। নরাধমকে দিয়ে যা করাতে চাইছেন, তাতে আমিও চিন্তিত। তবে তাঁর ইচ্ছাশক্তি এবং কর্মীদের প্রচেষ্টায় কাজটি বাস্তবায়িত হবে।
এই শিল্পকর্ম (Art) নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, কারণ তাদের অন্তরে ভারত সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। ভারত ব্যতীত বিশ্বশান্তির কোনও সম্ভাবনা নেই। ভারত ছাড়া প্রকৃতিকে আত্মস্থ করার উপাদানও পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
একজন কৃষকপুত্রের শিক্ষাজীবন (মাধ্যমিক ১৯৯০ ও উচ্চমাধ্যমিক ১৯৯২) থেকে শুরু করে সুকুমার সরকারের সামাজিক–রাজনৈতিক জীবন ১৯৯২ সাল থেকে আজ অবধি টানা ৩৩ বছর ধরে চলছে। আক্ষরিক অর্থে এই পথ তাঁর নিজের ‘ঠিকানা’ নয় — কারণ এখানে একটি রাতও তিনি কাটাননি। আর যেখানে রাত কাটানো হয়নি, সেই স্থান আসলে কোনওদিনই নিজের ঠিকানা হয়ে ওঠে না। অনেকেই হয়তো তা উপলব্ধি করবেন।
ছাত্রজীবন, ভারতদর্শন, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি, ভারতের বিষমুক্ত কৃষি ও খাদ্য আন্দোলন, আন্তর্জাতিক খাদ্য রাজনীতি, ভারতীয় কৃষি সংস্কৃতি, ঋষি দর্শন, সনাতন অর্থনীতি এবং গোত্রসংস্কারের ভিত্তিতে নির্মিত “কৃষি ও ঋষি যাত্রা” — ৫১+ সুকুমারের অন্তিম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ সংগ্রাম।
কি ছিল না — তার জন্য দুঃখ নেই। কি হতে পারত না — তার জন্য অভিযোগ নেই। কি হবে — তা নিয়ে কোনও উৎকণ্ঠা নেই। তিনি মঞ্চে নেই, সামনের সারিতে নেই, পিছন থেকেও খালি চোখে ধরা পড়েন না, অথচ থাকেন ভিড়ের মাঝখানে।
অস্থির বিশ্বপরিস্থিতিতে আধুনিক ভারতে কৃষি থেকে ঋষি, অন্নময় কোষ থেকে আনন্দময় কোষের যাত্রাপথে, রামসেতু নির্মাণে কাঠবিড়ালীর মতো আনন্দ উপভোগ করেন সুকুমার ভরদ্বাজ সরকার।
More About Us